যেসব কারণে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগী দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে পাকিস্তানের পোশাক রপ্তানিকারকেরা ১ ডলারে বর্তমানে ১৫৫ রুপি পাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে তাদের উৎপাদন খরচের তেমন কোনো তফাত নেই। ফলে ক্রেতাদের তারা আগের চেয়ে ২০-৩০ সেন্ট দাম কম অফার করতে পারছে। আর একটি কথা তো সব সময়ই সত্য, ক্রেতারা যেখানেই ৫-১০ সেন্ট কম পায়, সেখানেই চলে যায়। অবমূল্যায়ন, জিএসপি ও কম মজুরির সুবিধা নিতে চীনারা মিয়ানমারে কারখানা করছে। সেখানেও অনেক ক্রয়াদেশ চলে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে শুরুতে অনেক চীনা ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে এসেছে। তবে মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সেসব ক্রয়াদেশ আবার ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে সরে যাচ্ছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্র্যান্ডগুলোর বিক্রি কিছুটা কমে গেছে। সে জন্য ক্রয়াদেশ কিছুটা কমে গেছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই আমরা কাঁচামাল আমদানির পর পোশাক রপ্তানি আয়ের যেটুকু অংশ দেশে আসে, তার ওপর ৫ শতাংশ বাড়তি অর্থ দাবি করেছিলাম। প্রাথমিকভাবে সেটি করলে অবস্থার উন্নতি হতো। তবে দিন দিন পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে। বর্তমানে ডলারের বিশেষ হারের পাশাপাশি নগদ সহায়তার ওপর কর কর্তন বন্ধ ও আগামী এক বছর গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ মজুরি বৃদ্ধির পর কারখানাগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অনেকাংশে কমে গেছে।Mohd. Hatemপ্রথম সহসভাপতি, বিকেএমইএCollected From: Prothom Alo
0 Reviews:
Post Your Review
Thank you very much.